মহাবিশ্বের শ্রেষ্ঠ সরস্বতী পূজার গল্প

Tuesday, February 4th, 2014
২০১৩ সাথে জগন্নাথ হলে পুকুরে চারুকলার তৈরি প্রতিমা। ছবি: রাজীব দে

 Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে যারা জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা দেখতে আসেন, তারা সাধারণত হলের পুকুরে চারুকলার পোলাপাইনের তৈরি বিদ্যার দেবীর প্রতিমা দেখেই মুখ হা করা মুগ্ধতা নিয়ে বাড়ী ফিরে যান। কিন্তু, জগন্নাথ হলের সরস্বতী পূজার ভেতরের-বাইরের, আগের-পরের আরো অনেক মুগ্ধতার গল্প রয়েছে, সেটা শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলাপাইনরা ছাড়া আর কেউ টের পায় না। 

প্রতিটি সরস্বতী পূজার আগে দিয়ে প্রায় সপ্তাহব্যাপী জগন্নাথ হলে থাকা, ২/৩ টা বেনসনের ফ্যাক্টরি জ্বালিয়ে দিতে দিতে ঘুরে ঘুরে প্রতিমা বানানো দেখা, আর এতো জাতীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ঘুরে ঘুরে আড্ডা। পূজার দিনতো আরো বেশী দায়িত্ব, ঘুরে ঘুরে প্রতিটি মন্ডপে যেতে হবে এবং ঐ মন্ডপের পরিচিত বড়ভাই- ছোটভাইকে খুঁজে বের করতে হবে। তারপর স্ব-আতিথিয়তা গ্রহন করতে হবে না!!!?? সন্ধ্যার পর অন্যরকম এক মায়াবি পরিবেশ, সবাইকে খুব বেশী উদার আর ঝাপসা মনে হয় তখন। হলের মাঠ হয়ে যায়, দেশের সবচেয়ে বড় ড্যান্স ফ্লোর!!

আর ভগিনীদের হলে প্রবেশের বাৎসরিক সুযোগের কথাটা এখানে বরং উহ্যই থাক! সবাই এটা বুঝবে না 

দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সরস্বতী পূজা হয় ঢাবির জগন্নাথ হলে, মহাবিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রতিমাটি বানায় চারুকলা বিভাগ যেটা থাকে জগন্নাথ হলের পুকুরের ঠিক হৃদমাঝারে।

ধন্যবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তোমার কাছে না গেলে কখনও বুঝতাম না সরস্বতী পূজা এতো অসাধারণ হইতে পারে।

পোলাপাইনজ্ যারা ক্যাম্পাসে আছো, একটা মুহূর্তও মিস করো না, জীবনের প্রতিটি কণা উপভোগ করো অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়ে।। মনে রাখবা, ইটজ ইউর লাইফ, কালার ইট। দিন শেষে সাদাকালো জীবন লইয়া কি করিবা???

সবাইকে সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা।

test google april fool item

Monday, April 2nd, 2012

গো. আ গ্রেপ্তার কিন্তু এখনই জয়োধ্বনি নয়…

Thursday, January 12th, 2012

নতুন প্রজন্মের অঙ্গীকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় পরাজয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলো ক্ষমতাসীন দলের এই একটি মাত্র অঙ্গীকার।

জীবনানন্দ দাশ এই বাংলায় আসতে চেয়েছিলেন শঙ্খচিল বা শালিকের বেশে। আর জাতির পতাকা খামচে ধরা শকুন জামায়াতে ইসলামী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এদেশে এসেছিলো শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, ইসলামী ছাত্র সংস্থা, পরবর্তীতে ইসলামী ছাত্র শিবির, এবং ইসলামী ছাত্রী সংস্থার বেশে।
   
যুদ্ধাপরাধী এই চক্র ৩০ লাখ শহীদের গুলিবিদ্ধ করোটির উপর দাড়িয়ে এই বাংলার মাটিতে খেলেছে দম্ভের হোলি খেলা। আর সেটা সম্ভব হয়েছে এ দেশে তাদের কিছু ক্ষমতালোভী দোসরদের কারণে।
কিন্তু এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধারা তাদের এ দম্ভকে ক্ষমা করেনি।

মহাজোট সরকারের এই অঙ্গীকার মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আমাদের স্বজনদের মরা লাশগুলোতে এসেছিলো নতুন জোয়ার। বাংলার তরুণদের মনে বাজছিলো জহির রায়হানের সেই কবিতা—

ওদের জানিয়ে দাও,
ওরা আমার মা-বাবাকে হত্যা করেছে কুকুর বিড়ালের মতো
স্টীম রোলারের নিচে…

ওদের জানিয়ে দাও,
ওরা দেখেও যদি না দেখে, বুঝেও যদি না বোঝে
গরম লোহার শলাকা দুচোখে দিয়ে ওদের জানিয়ে দাও
মরা লাশ গুলোতে কেমন জীবন এসেছে…

আজ এইসব শকুনদের পালের গোদা গোলাম আযম গ্রেপ্তার হয়েছে। এই আনন্দের ক্ষণে আমরা উদ্বেলিত কিন্তু আমরা এখনও জয়োধ্বনি করতে পারছি না। আমরা তখনই জয়োধ্বনি করবো যখন ৭১ এ সংগঠিত সকল মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, এবং যুদ্ধাপরাধের  দ্রুত বিচার করে শাস্তি দেয়া হবে। এই বুড়ো শকুন সহ সবকয়জন রাজাকার শকুনের  নখ ভেঙ্গে ফেলা হবে। হত্যা করা হবে এই সব জানোয়ারদের।

এবারের শীত আততায়ী হলে আমরা হচ্ছি সিরিয়াল কিলার

Thursday, January 12th, 2012

রবীন্দ্রনাথের শীত কবিতার বর্ণনার মতো এতো মনোহরিনী শীত এবার পড়েনি। এবার পড়েছে জমজমাট ‘নো ফ্রস্ট’ শীত। বরফ জমছে না কিন্তু শীতের লু হাওয়া সব কিছু যেন জমাট করে ফেলছে। মুভিতে দেখেছি, পুলিশ অপরাধীকে ধরার সময় বলে ‘ফ্রিইইইজ’। এবার যে হারে শীত পড়েছে তাতে আমাদের দেশের অপরাধী হলে বলতো, ‘জইমাই তো আছি।‘
হালকা চালে শুরু করলেও যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে বসেছি সেটি মোটেও হালকা নয়। আসলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই পোস্টটি লিখতে বসেছি তাতে এর শুরুটি হওয়ার কথা ছিলো ভূপেন হাজারিকা সেই বিখ্যাত গানটি দিয়ে, “মানুষ মানুষের জন্যে…” কারণ হচ্ছে, এবারের আততায়ী শীত এবং শৈত্য প্রবাহ। সত্যি বলছি, এবারের মতো খুনে শীত আমি কোনবারই দেখি নি। খবরের পাতায় চোখ বুলিয়ে দেখলাম এবারের শীতকে খুনে, আততায়ী বলে একদম ভুল কিছু করিনি। কয়েকটি উদাহরণ দেই:

বিডি নিউজ২৪ লিখেছে, “শৈত্য প্রবাহ বইছে, ৫১ মৃত্যুর খবর”
বাংলাদেশ বার্তা ডটকম বলছে, “কেশবপুরে শীতের তীব্রতায় শিশুকন্যাসহ ৬ জনের মৃত্যু “
বাংলানিউজ২৪ ডটকম জানাচ্ছে, “শীত তীব্র, ৭ শিশুর মৃত্যু রংপুরে “
আবার বিডিনিউজ২৪ ডটকম জানাচ্ছে, “’কুড়িগ্রামে শীতে ৪৮ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু’”
এরকম আরো ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে, প্রতিনয়ত ঘটছে। তবে এবারের শীতের তীব্রতা বুঝতে পেপার পড়া লাগে না। যে শীত পড়েছে সেটি নিজেকে দিয়েই হাড়ে হাড়ে (আক্ষরিক অর্থে) বুঝেছি। দুইটা/তিনটা গরম কাপড় একসাথে পরার পরও যে কাঁপুনি দিয়ে শীত আসে মনে হয় রিমান্ডে আছি। সারাদিন লেপের মধ্যে থেকেই যদি এই শীতকে রিমান্ড মনে হয়, তাহলে যাদের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই তাদের কাছে এই শীত তো জয়েন্ট ইন্টেরোগেশন সেলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সমতুল্য। আজ বাংলা ১০ই পৌষ, এরপরে আছে মাঘ। পৌষের শুরুর অবস্থাই যদি এই হয়, তাহলে মাঘকে কি বলা যায়, গুয়ানতানামো বে??!!
অথচ, আমরা একটু সচেষ্ট হলেই কিন্তু কিছু অসহায় মানুষকে এই শীতের জয়েন্ট ইন্টেরোগেশন সেল থেকে বের করে আনা সম্ভব। ডিসেম্বর/জানুয়ারি মাসে আমরা তুলনামূলকভাবে অনেক অনাবশ্যকীয় ব্যয় করি। সাধারণত এই সময়টাতেই আমরা বেশী ট্যুরে যাই, থার্টি ফাস্ট উদযাপন করি, উস্কানিমূলক ঠান্ডা আবহাওয়ার অজুহাতসংক্রান্ত পার্টি তো আছেই।
এ বছর আমরা বিজয়ের ৪০তম বার্ষিকী পালন করছি। মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছিলো, তারা তো তাদের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছিলো এই দেশের জন্য। তাদের এই সর্বস্ব ত্যাগের কারণেই আমরা আমরা জন্ম নিয়েছি একটি স্বাধীন দেশে। কিন্তু স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহন করলেই কি দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়? আমি বলছি না যে, আমরা দায়িত্বহীন তবে আসলে আমরা দেশ ও দেশের মানুষকে কতটুকু প্রতিদান দিতে পেরেছি? আমি জানি আমাদের সীমাবদ্ধতা অনেক, আমাদের দেশের সিস্টেমেও অনেক সমস্যা। কিন্তু, তাই বলে আমরা জানালা বন্ধ করে বসে থাকবো? আমরা আমাদের মানসিক সীমাবদ্ধতার জানালা কিছুটা খুলে আমাদের কিছু উষ্ণতা ছড়িয়ে দেই শীতে কাঁপতে থাকা আমাদের ভাইয়ের কাছে, বোনের কাছ, মায়ের কাছে, বৃদ্ধ দাদুর কাছে অথবা শীতে নিউমোনিয়া বাঁধিয়ে ফেলা সেই ছোট্ট শিশুটির কাছে।
আসুন না বিজয়ের এই চল্লিশতম বার্ষিকীটা আমরা একটু অন্যরকমভাবে পালন করি। লাখো শহীদদের আত্মত্যাগের যে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা আজ বিজয়ের চল্লিশ বছর পালন করছি, সেই ত্যাগের স্মরণে আমরাতো সামান্য কিছুটা স্যাক্রিফাইস করতেই পারি। সেই স্যাক্রিফাইসটা হতে পারে আমাদের থার্টি ফাস্টের পার্টি, হতে পারে এবারের শীতকালের জন্য বরাদ্দ কোন ট্যুর, অথবা যেকোন অনাবশ্যকীয় চাহিদা যেটি না করলে আমাদের জীবন থেমে থাকবে না।
আমি এই লেখায় একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ত্যাগের সলজ্জ ঢোল পেটাতে চাই। সেটি হলো, এই জানুয়ারিতে আমি বন্ধুদের সাথে বান্দরবান ট্যুরে যাওয়ার প্লান করছিলাম। এখন স্ট্যাটাস হলোঃ ট্যুর ক্যানসেল, ট্যুরের জন্য বরাদ্দকৃত টাকায় আমি সস্তা কম্বল এবং শীতবস্ত্র কিনবো। তারপর সেগুলি দিয়ে দিবো শীতার্ত মানুষের জন্যে।
আমার মূল কথা হচ্ছে, আমরা যেন আমাদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে, অথবা সামান্য স্যাক্রিফাইস করে এইসব শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই। সেটি ব্যক্তিগতই হোক আর কোন সংগঠনের মাধ্যমেই হোক। আমরা যে কোন ব্যক্তি/সংগঠনের মাধ্যমেই শীতবস্ত্র দেই না কেন, আমাদের মূল কাজ হলো সবাইকে এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা যে সবাই তার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুক। আমাদের সামান্য প্রচেষ্টা যদি গুটিকয়েক মানুষকে এই শীতের মরণকামড় থেকে রক্ষা করে তো ক্ষতি কি?
কিছু অসহায় শীতার্ত মানুষ, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বাচ্চা, চলৎশক্তিহীন বৃদ্ধ দাদু আমাদের দিকে চেয়ে আছে। কথা দিচ্ছি যে, বিজয়ের এই মাসে আপনাদের সামান্য এই ত্যাগে যে নিঁখাদ আনন্দ পাবেন, আপনার টু-ডু লিস্টে থাকা অনাবশ্যক ট্যুর অথবা পার্টির চেয়ে তা একরত্তি কম নয়, বরং বেশীই।
শেষ করছি পবিত্র কোরআনের (৫:৩২) একটি উক্তি দিয়ে,
“If anyone slays a person, it would be as if he slew the whole people: and if any one saved a life, it would be as if he saved the life of the whole people.”
“যদি কেউ কোন মানুষকে হত্যা করে, সে যেন পুরো মানব জাতিকেই হত্যা করলো। আবার যে একজন মানুষের জীবন বাঁচালো সে সে যেন পুরো মানব জাতিকেই রক্ষা করলো।“
এই শীত যদি আততায়ী হয়, তবে প্রতিবছর সেটি দেখেও না দেখার ভান করে, শুধু নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থেকে আমরা হচ্ছি সিরিয়াল কিলার! আপনার দিকে বাড়িয়ে দেয়া হাত আপনার হাতের উষ্ণতায় সিক্ত হবে, নাকি সে হাত না ধরে আপনি তাকেও এই শীতের মতো নিথর ও জমাট করে দিতে চান সে সিদ্ধান্ত আপনার উপরই ছেড়ে দিলাম।
ছবি কৃতজ্ঞতা: দৈনিক কালের কন্ঠ

বাংলাপিডিয়া বাঙলার বীর সূর্যসেনরে টেরোরিস্ট কয়!!!

Thursday, January 12th, 2012

সূর্যকুমার সেন বা মাস্টারদা সূর্যসেন সম্পর্কে আমরা সবাই মোটামুটি একটু আধটু জানি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তিনি ধাপে ধাপে আন্দোলনকে বেগবান করেন। তিনি গোপন বিপ্লবী দল গঠন করেন। গান্ধীজির সাথে একাত্মতা পোষণ করে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। নাগরখানা পাহাড় খন্ডযুদ্ধ, ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, জালালাবাদ যুদ্ধ, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন, ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমন সহ নানা আক্রমনে তিনি ব্রিটিশ বাহিনীকে পর্যদুস্ত করে দেন।
ইংরেজ প্রশাসন সূর্য সেনকে জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় ধরার জন্য হন্যে হয়ে ওঠে। অবশেষে ১৯৩৩ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী তিনি গ্রেপ্তার হন এবং পরবর্তীতে ১৯৩৪ সালের ১২ই জানুয়ারী মধ্যরাতে ইংরেজ বাহিনী এ মহান বিপ্লবীকে ফাসিতে ঝুলিয়ে ব্রিটিশ বিরোধী ক্ষোভ দমনের ব্যর্থ প্রয়াস চালায়। কিন্তু পরবর্তীতে সে আগুনতো নেভেই নি। বরং সেটি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে আরো তরান্বিত করে। মহান এ বিপ্লবীকে দুই বাংলার জনগণ নানাভাবে মনে রেখেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হল ছাড়াও বাংলাদেশের নানা স্থাপনা এ মহান বিপ্লবীর নামে নামকরণ করা হয়েছে।
কলকাতার বাঁশদ্রোণী মেট্রো স্টেশনটির নামকরণও এ বিপ্লবীর স্মরণে "মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশন" রাখা হয়েছে।
বলিউডে সূর্যসেনকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা "খেলে হাম জি জান সে"
কিন্ত, "বাংলাপিডিয়া" যেটাকে বাংলার এনসাইক্লোপিডিয়া বলে দাবি করা হয় সেখানে এই মহান বিপ্লবীকে পরিচয় করে দেওয়া হয়েছে টেরোরিস্ট নামে!!!

বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে।
স্ক্রিনশটও দিয়ে দিলাম। নিচে দেখুন (সিলেক্ট করা অংশ):

বাংলাপিডিয়া সম্ভবত ব্রিটিশ কোন লেখা থেকে কপি করে ছাপিয়েছে। হায়, কপাল! আমাদের দেশের বীরের কাহিনী যদি বাইরের দেশের কোন লেখা থেকে মেরে দিয়ে ছাপাতে হয়, তাহলে আর কি বা বলার থাকে???
আর একটি বোনাস বিষয়: বাংলাপিডিয়ার বাংলা কন্টেটগুলা বিজয়েটাইপ করে ওয়েবসাইটে ওভাবেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফন্ট না থাকলে কেমন দেখায় নিচে দেখুন:

আচ্ছা, এসব ডকুমেন্টে ইউনিকোডে কনভার্ট করাকি এতোই কঠিন? আমিতো জানি মাত্র দুই তিনটি ক্লিকে ফোল্ডার সহ কনভার্ট করা যায়। এরপর একটু বানান দেখে নিলেই হলো।
আমার বলার কিছু নাইও। যেটুকু করতে পারি, এটি বাংলাপিডিয়ার কন্টাক্ট মেইল এ্যাড্রেসে (pedia@bangla.net) আমাদের অভিযোগের কথাটা জানাতে পারি। নিজেদের ইতিহাস নিজেরাই ক্ষতবিক্ষত কি না করলেই নয়???
তথ্যসহযোগিতা: উইকিপিডিয়া বাংলা

Just experienced a world record of world’s largest solo classical vocal music.

Wednesday, January 26th, 2011


Now i’m at TSC @Dhaka University to experience the world’s largest solo classical vocal music (we call it Ucchango Sangeet in Bengali) by DADA TAPAN KANTI BAIDYA. He started singing today at 5 pm now it’s 10:00pm, people from all classes were enjoying the show. hats’s off to Mr. Baida.

black eyed peas’s new song

Saturday, January 22nd, 2011

just listened “just can’t get enough” by black eyed peas. it’s good.

আমি বিবিসি’র একটি সংবাদের নিন্মোক্ত লাইন দু’টির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি যেখানে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু এবং জিয়ার অবদানকে সমপর্যায়ের বলে দাবি করা হয়েছে!

Friday, December 17th, 2010

বিবিসি’র ওয়েবসাইটে গতকাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী’র গ্রেপ্তারের সংবাদটি এসেছে। এই সংবাদের মধ্যে একটি প‌্যারায় মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানের অবদানকে সমপর্যায়ের বলে দাবি করা হয়েছে!

প‌্যারাটি নিন্মরূপ:
"Prime Minister Sheikh Hasina’s father, Sheikh Mujibur Rahman, played a prominent role in the (independence) campaign as did Zia-ur-Rahman, the husband of BNP leader Khaleda Zia."
সংবাদটির লিংক: Click This Link

আমি বিবিসি’র সংবাদের (বিশেষ করে বাংলা সার্ভিস) একজন ভক্ত, কিন্তু একজন বাঙালি হিসেবে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের এরকম একটি ভুল কখনোই মেনে নেয়া যায় না যেটি ইতিহাস বিকৃতিকে উসকে দেয়।

বিবিসি’র ওই রিপোর্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার সাথে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা সমপর্যায়ের বলে যে তুলনা উঠে এসেছে সেটি একটি মারাত্মক ভুল বলে আমি মনে করি।

আমি এই প‌্যারাটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং একইসাথে বিবিসি’কে ক্ষমা চেয়ে প‌্যারাটি প‌্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

‘‘একটা এসএমএস আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে’’: শহিদুল ইসলাম, আখচাষী

Sunday, December 12th, 2010

‘‘ আমি সেই ১৯৭৬ সাল থেকে ফরিদপুর চিনিকলে নিয়মিত আখ সরবরাহ করি। আমার আশে-পাশের আর ১০ জন আখচষীর মত আমিও আখ চাষের জন্য বিনা সুদে ঋণ, সার, কীটনাশক, সেচের জন্য সুবিধা পেয়েছি। আখ মাড়াইয়ের উপযুক্ত হলে চিনিকল থেকে পূর্জি আসলে আমরা সেন্টারে বা মিলের গেটে আখ দিয়ে আসি। মৌসুম শেষে আখের জন্য টাকা পাই। পুর্জি নিয়ে অনেক হয়রানী ঝামেলা থাকলেও এভাবেই আমাদের চলছিল। কিন্তু গত বছর থেকে এসএমএস এর মাধ্যমে পূর্জি পাওয়ায় আখচাষীদের মধ্যে একটা আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের অর্ধেক কষ্ট কমে গেছে। পূর্জির অপেক্ষায় আর বসে থাকতে হয়না। কারো কাছে ধর্না দিতেও হয়না। একটা এসএমএস আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে’’ মাগুরা সদরের আখচাষী মো. শহিদুল ইসলাম (৫৩) এইভাবে ই-পূর্জির সুফল বর্ণনা করছিলেন।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন গত বছর দেশের দুটি চিনিকলে পাইলট ভিত্তিক ই-পূর্জি ব্যবস্থাপনা চালু করে। ইউএনডিপির অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এ প্রকল্পে কারিগরী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সনাতন পূর্জি ব্যবস্থাপনায় চিনিকলের তালিকাভূক্ত আখচাষীদের আখ মাড়াইয়ের সময় চিনিকল থেকে কাগজে লেখা পূর্জি দেয়অ হত। এই কাগজে তিনদিনের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমান আখ সরবরাহ করার কথা বলা হয়। পূর্জি বিতরণের জন্য নির্দিষ্ট লোকবল না থাকায় চিনিকল কর্তৃপক্ষ চিনিকলের বিভিন্ন সেন্টার, চাষীদের প্রতিবেশী, অন্য চাষীর মাধ্যমে চাষীর কাছে পূর্জি প্রেরণ করতো। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চাষীর হাতে যথাসময়ে পূর্জি পৌঁছেনা। শহিদুল ইসলাম জানালেন, ‘‘ হয়ত আমার কোন চাষী ভাই বা প্রতিবেশী কেন্দ্রে গেছেন সিআইস (সেন্টার ইন-চার্জ) তাকে আমার পূর্জিটা আমার কাছে পৌঁছে দিতে বললেন। যিনি আমাকে পূর্জি দিবেন তিনি হয়ত কাগজটা হারিয়ে ফেললেন, ভুলে গেলেন বা যেদিন আখ জমা দেয়ার শেষদিন সেইদিন আমি পূর্জিটা হাতে পেলাম। তখনতো আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা। তাছাড়া মেয়াদ শেষ হবার পর আখ নিয়ে গেলে অন্য চাষীদেরটা রেখে আমাদেরটা নিতে চায়না কেন্দ্র । যদি তিনদিনের মেয়াদ শেষ হবার পরেও আমাদের আখ কেনা হয় তবে সেটা অতিরিক্ত হিসেবে চিনি কলে পড়ে থাকে। ফলে আখ শুকিয়ে যায় এবং চিনি উৎপাদন কম হয় এতে। আমাদেরও ক্ষতি চিনিকলেরও ক্ষতি’’

শুধু শহিদুল ইসলাম না অন্য সকল চাষীর মুখে এখন হাসি। একটা এসএমএস তাদের জীবন বদলে দিয়েছে। এই এসএমএস দিয়ে শুধু পূর্জির তথ্য দেয়া হয়না অন্যান্য বিষয়েও তথ্য দেয়া হয়। এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম জানালেন, ‘‘ আগে আমাদের আখের মূল্য পরিশোধ করার জন্য কেন্দ্রে ডাকা হতো যদিও সবাইকে খবর দেয়া সম্ভব হতোনা। আমরা হয়তো গিয়ে দেখতাম টাকার ব্যবস্থা হয়নি। এতে অনেক অপ্রিতীকর ঘটনাও ঘটেছে। এখন সবাইকে এসএমএস করে বলা হয় কোনদিন কখন টাকা পরিশোধ করা হবে। যদি কোনো কারণে টাকা দেয়া সম্ভব না হয় কর্তৃপক্ষ আমাদের আগেই এসএমএস করে জানিয়ে দেন। আগে থেকে জেনে যাওয়ার কারণে আর আমাদের বসে থাকতে হয়না।’’ দেশের সকল চিনিকলে এবছর ই-পূর্জি চালু করা হয়েছে। আখ চাষের সাথে জড়িত দেড় লক্ষ কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন। কোনো অসুবিধা আছে কি-না জানতে চাইলে মো. শহিদুল বললেন, ‘‘ ডিজিটাল পূর্জি হলো আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ। পূর্জির এসএমএস টা বাংলায় হলে আমাদের আরো সুবিধা হবে।’’

Rickshaw Accident towards Fainting

Saturday, December 11th, 2010

rickshaw-accident-art-nomad-sandra-hansen

I had an Rickshaw accident today in the morning at my University Campus on the way to my office. it was a complete quick blackout, and the next thing i knew that i was on the University Medical Center and two unknown students was standing around me. My head hit the road, but not so badly. Doc. said that I’m completely fine. I have called my roommates to carry me home, then I called my office and bought some medicine.

Now I’m lying alone in my room, missed a very important office, in deed. My supervisor in office is burning, but what can I do right now?

What is the definition of Fainting?

Wikipedia says, “the medical term for fainting is Syncope (sounds like ‘’sing-cup-ee’). 

Syncope (Fainting) is a sudden, usually temporary, loss of consciousness generally caused by insufficient oxygen in the brain either through cerebral hypoxia or through hypotension, but possibly for other reasons.”

That’s all for today. Cheers…